Thursday, January 25, 2018

বকফুল

বকফুল এর পরিচয়-

এই ফুলের বাংলা নাম- বক বা বকফুল (Sesbania grandiflora)- অন্যান্য নামের মধ্যে Agati,Agasti, Drigapalaka, Gaach-munga উল্লেখযোগ্য। এটি Fabaceae পরিবারের অন্তর্গত একটি উদ্ভিদ।
অন্যান্য প্রজাতির মধ্যে আছে - Sesban coccinea, Agati grandiflora, Coronilla grandiflora। বকফুলের আদি আবাস মালয়েশিয়া। ক্ষুদ্র আকৃতির পত্রমোচী গাছ। কাণ্ড সরল, উন্নত, ম্লান-বাদামি ও মসৃণ। যৌগিক পত্রটি পালকের মতো এবং আকর্ষণীয়, পত্রিকা আয়তাকৃতি ও গাঢ়-সবুজ। কোমল কলিগুলো বাঁকানো। প্রায় সারা বছরই ফুল ফোটে। ফল লম্বা, প্রায় গোল,বীজ থেকে সহজেই চারা হয়। বৃদ্ধি দ্রুত, এক বছরেই গাছ ফুল ও ফলবতী হয়।

বকফুল-

বকফুল মাঝারি ঝাড় জাতীয় বৃক্ষ। ফুলের আকার-আকৃতি গাছের ডালে বকের ঠোঁটের মতো বোঁটায় ঝুলে থাকতে দেখায় বলে এরকম নামকরণ। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই বকফুল জন্মে থাকে। নানা রঙের থাকলেও সাদা, লাল, গোলাপি; এই ৩ রঙের বকফুলই দেখতে পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশে সাদা ও লাল রঙের বকফুল বেশি পাওয়া যায়।

বকফুল সবজি হিসেবে মুখরোচক, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। বকফুল বড়া, ভাজি, সবজি করে খাওয়া যায়। এটি দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, দাঁত ও হাড় মজবুত করে, ডায়াবেটিস ও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাছাড়া খাদ্যনালির ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ও আয়োডিনের ঘাটতি পূরণেও সহায়ক।

গুনাগুণ
বকফুলের বড়া বাংলার মানুষের কাছে একটি পছন্দের খাবার।এর ঔষুধি গুণ আছে প্রচুর । জ্বর, ফোলা ও ব্যাথাবেদনা সারাতে, বাতের ব্যথায় শিকড় চূর্ণ জলের সাথে গুলে ব্যাথা জায়গায় ঘষলে আরাম পাওয়া যায়। চুলকানি-পাঁচড়া সারাতে কম্বোডিয়ায় বাকল চূর্ণ লাগানো হয়। কৃমি ও জ্বর সারাতে পাতার রস খাওয়ানো হয়। গ্যাস্ট্রিক আলসার ও বুক জ্বালা নিরাময়, রাতকানা রোগের ঔষুধ হিসাবে গাছের পাতার রস ব্যবহার করা হয়, করেকোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, চোখের স্নায়ু জোরদার করেবার্ধক্য ও হাড় দুর্বলতা প্রতিরোধ করতে বকফুল পাতার রস উপকারী।

No comments:

Post a Comment

Variations on The Word Love

  Variations on The Word Love    By Margaret Atwood           'This is a word we use to plug      holes with. It's the right size fo...