Thursday, September 6, 2018

ফ্রিল্যান্সিং ফটোগ্রাফি বা ছবি তুলে ইন্টারনেটে আয়

ছবি তুলে ইন্টারনেটে আয়

 ফটোগ্রাফি একটা শখের বিষয়। অনেকেই ছবি তুলতে পছন্দ করেন। শখের বশেই প্রতিনিয়তই ক্যামেরায় (Camera) ক্লিক করে যেতে থাকেন এবং অনেক অসাধারণ মুহূর্তগুলো ক্যামেরায় বন্দী করেন। এই শখটাকেই আজকাল অনেকে পেশা বানিয়ে নিচ্ছেন। শখের সঙ্গে যদি পেশার সামঞ্জস্য হয়ে যায় তাহলে ক্ষতি কী? শখ থেকেই যদি হয়ে যায় অন্নের সংস্থান তাহলে সেটাই তো ভালো। তাই নয় কী? ফটোগ্রাফির এই শখটি ব্যবহার করেই ইচ্ছা করলে আয় করতে পারবেন ইন্টারনেট থেকে। কিংবা পেশার বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায় ফটোগ্রাফিকে। বর্তমানে অনেকেই ফটোগ্রাফি করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন। তাহলে আসুন এবার জেনে নিই শখের ফটোগ্রাফি করে কি কি প্রক্রিয়ায় ইন্টারনেট থেকে আয় করা যায় ।

অনলাইনে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ কপি ছবি বিক্রি হয়। আসলে ছবিটি নয়। ছবিটি ব্যবহার করার অনুমতি (Usage Right) বিক্রি হয়। অর্থাৎ আপনি যদি আপনার তোলা কোন ছবি বিক্রয় করতে দেন তবে যে কিনবে সে আসলে তার প্রয়োজন মতো ছবিটি ব্যবহার করার অনুমতি পাচ্ছে, তারপরও আপনার ছবি আপনারই থেকে যাবে। বিক্রি করতে পারেন আরেকজনের কাছে। ব্যাপারটি একটু তাহলে খুলেই বলি।
আমার একটি ওয়েবসাইট আছে ফুড লাইফ (Food Life) নামের। এখানে আমি যদি প্রতিদিন ১০ টি পোস্ট করতে চাই তবে সেই পোস্ট এর সাথে অবশ্যই আমাকে কমপক্ষে ১০ টি ছবি আপলোড করতে হবে। এবং অবশ্যই পোস্ট এর সাথে মিল রেখে। ছবি ছাড়া বা বেমানান ছবি ব্যবহার করলে অবশ্যই আমার ওয়েবসাইট এর মান কমে আসবে তাই আমার কাছে ছবি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখন কথা হচ্ছে এতো ছবি কোথায় পাওয়া যাবে? এখানেই হচ্ছে অনলাইন ফটো স্টক মার্কেট (Photo Stock Market) এর কাজ। আমাকে শুধু সেখান থেকে আমার প্রয়োজন মতো ছবি বাছাই করে কিনে নিতে হবে। আর ছবিগুলো কোন না কোন শখের ফটোগ্রাফারই(Photographer) তুলেছেন।

স্টক ফটোগ্রাফি মার্কেট কিভাবে কাজ করেঃ ব্যাপারটি খুবই সাধারণ। যদি আপনি ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন এবং আপনার তোলা ভালো মানের ছবি থাকে যা আপনি বিক্রয় করতে চান তা বাছাই করুন। এবার যেকোন স্টক মার্কেট (Stock Market) এ আপনার তোলা ছবি আপলোড করুন। মানানসই টাইটেল (Title), ছবির ধরণ অনুযায়ী ক্যাটাগরি (Category), ট্যাগ (Tag) ইত্যাদি ব্যবহার করে ছবিটি পাবলিশ (Publish) করুন। আপনার কাজ মোটামুটি শেষ। এবার স্টক মার্কেট ছবিটির গুরুত্ব অনুযায়ী ক্রেতাদের দেখাতে থাকবে এবং বিক্রয় করতে থাকবে। যত কপি বিক্রয় হবে আপনি তার বিপরীতে একটি অর্থ পাবেন। অবশ্যই তারা সেখান থেকে তাদের লাভের অংশ রেখে দিবে। এবং এতে ছবিগুলোর জন্য মার্কেটিং করা এবং অর্থ লেনদেন এর যাবতীয় চার্জ যুক্ত থাকবে।

কিংবা ওই ঝামেলায় না জড়াতে চাইলে ছবি বিক্রি করার জন্য নিজের একটি পার্সোনাল ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। যদি নিজেই নিজের গ্যালারী পরিচালনা করতে চান তাহলে আপনাকে বেশকিছু কাজ করতে হবে। একটি ওয়েবসাইট তৈরী করতে হবে, সেটা আকর্ষনীয় করতে হবে, সেখানে ভিজিটর আসার ব্যবস্থা করতে হবে, কেউ কিনলে সেই অর্থ গ্রহনের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা রাখতে হবে ওয়েবসাইটেই। এই ব্যবস্থায় নিজে বিক্রি করলে লাভ সবচেয়ে বেশি, তারপরও পুরো কাজটি বেশ জটিল। আর এই জটিল কাজটি আপনার জন্য সহজ করে দিচ্ছি আমরা, এরকম সম্পূর্ণ নিজের ওয়েবসাইট সল্পমূল্যে বানাতে চাইলে আমাদের  যোগাযোগ করুন। 

সম্পর্কিত ছবি

কি ধরণের ছবি বিক্রয় করা যায়

আসলে এর কোন নির্দিষ্ট ধরণ (Type) নেই। প্রায় সব ধরণের ছবিই এখানে বিক্রয় করা যায়। শুধু ছবির মান ভালো হতে হবে। আপনি প্রকৃতির (Nature) ছবি তুলতে পারেন, খাবারের (Food) ছবি তুলতে পারেন, আকাশের ছবিতুলতে পারেন, পশুপাখির (Birds and Animals) ছবি তুলতে পারেন আবার চাইলে কাউকে মডেল (Artist/Model) বানিয়ে তার ছবিওতুলতে পারেন। তবে কোন মানুষের ছবি হলে অর্থাৎ মডেল হিসেবে কেউ থাকলে তার একটি অনুমতি পত্র (Agreement) প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ তার ছবিটি সে ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে সেরকম একটি এগ্রিমেন্ট। তবে এই এগ্রিমেন্ট এর কপি ফটো স্টক মার্কেটগুলোই দিবে। আপনাকে শুধু সঠিকভাবে পূরণ করে দিতে হবে। আর যেকোন কিছুর ছবি তোলা যাবে মানে এই নয় যে ব্যবহারের অযোগ্য বা কাজে আসবে না এমন ছবি তুলেও বিক্রয় করা যাবে। যেহেতু কারো প্রয়োজন এর জন্যই কেউ ছবি কিনবে সেহেতু তাদের কাজে আসবে এমন ছবিই দরকার। আপনি নমুনা হিসেবে স্টক মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় টপ সেল হওয়া ছবিগুলো দেখলে। এতে আপনি কোয়ালিটি, ধরণ, মার্কেট চাহিদা ইত্যাদি বুঝতে পারবেন। তবে অনেক সময় সাধারণ মনে হওয়া একটি ছবিও সবচেয়ে বেশী বিক্রি হতে পারে। তাই যতো বেশী সম্ভব ছবি আপলোড করা ভালো।

কিভাবে সফল হবেন

আসলে প্রথম ছবি বিক্রয় করতে নামলে অবশ্যই আপনি সাথে সাথে সফলতা পাবেন না। কেননা বেশীরভাগ ক্রেতা টপ সেলার এর দিকেই বেশি নজর দেয়। এক্ষেত্রে আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তবে আপনাকে একটু কষ্ট করতেই হবে। নিয়মিত ছবি আপলোড করতে থাকা, ভালো মানের কিছু ছবি বিনামূল্যে ব্যবহারের অনুমতি দেয়া, নিজের পোর্টফলিও ওয়েবসাইট বা ব্লগ ব্যবহার করে মার্কেটিং করা ইত্যাদি এর মাধ্যমে আপনি হয়তোবা আপনার ছবি বিক্রয়ের পরিমাণ বাড়াতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে ভালোই কষ্ট করতে হবে। তবে সফল হতে হলে কষ্ট করতেই হয় এবং সেই সাথে লেগে থাকতে হয়।

গ্রহ নক্ষত্র গুলো শুন্যে ভেসে আছে কিভাবে? অনেকেরই প্রশ্ন, আসুন আজ জেনে নেই


অনেকেরই প্রশ্ন- গ্রহ নক্ষত্র গুলো শুন্যে ভেসে আছে কিভাবে?
কেনোই বা তারা সূর্যকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে?
কেনো তারা ছিটকে বা অন্যভাবে দূরে চলে যাচ্ছেনা?
আমাদের চারপাশে আমরা যে বলের বা আকর্ষন বিকর্ষনের ঘটনা দেখি এগুলো কেনো হয়?


এগুলোর মোটামুটি বিস্তারিত ব্যাখা দেওয়ার চেষ্টা করবো আজ। প্রথমেই আসি গ্রহ নক্ষত্রের ব্যাপারে। তারা ভেসে আছে কি করে?
আমরা অনেকেই হয়তো স্পেস টাইম কার্ভেচারের নাম শুনেছি। অনেকেই হয়তো কিছুটা বুঝি আবার কেউ কেউ হয়তো বুঝিনা। আসুন জিনিসটা আবার বুঝা যাক।


ধরুন আপনি একটি রাবারের পাতলা চাদরকে অনেক টান টান করে চারপাশে আটকালেন। তখন সেটা একটা সমতল পৃষ্ঠ এর ন্যায় দেখাবে। কিন্তু যদি এখন আপনি এর মধ্যে একটি ১ কেজি বা ৮০০ গ্রাম ওজনের বল রাখেন।তাহলে সেই বলটি উক্ত চাদরকে বাকাবে এবং একটু গর্তের ন্যায় তৈরি করবে।

এখন কথা হচ্ছে, যদি আপনি ঐ চাদরের একদম উপরে বা মাঝের যেকোনো কোথাও একটি ছোট মার্বেল রাখেন, সেটি গড়িয়ে গিয়ে সেই ১ কেজি ওজনের বলের সাথে গিয়ে লাগতে চাইবে।কেননা সে একটি বাকানো পথ তৈরি করেছে যার ফলে তার থেকে কম ওজনের যাই দেওয়া হবে সেটা সেই বাক তৈরির উৎস্যের দিকেই যাবে। ঠিক যেভাবে নিচু গর্তে পানি গড়িয়ে যায়।

তবে উক্ত চাদরে যদি আপনি কোনো মার্বেলকে একটু অনুভূমিক বরাবর গতি প্রদান করতে পারেন তবে দেখবেন অনেক্ষণ ধরে তা ঘুরপাক খাবে।মাঝে মধ্যে গর্তে গিয়ে আবার বেরিয়ে এসে ঘুরতে 

থাকবে এবং শক্তি হারাতে হারাতে এক সময় থেমে গিয়ে গর্তে পতিত হবে।
এবার আসুন, গ্রহের বেলায় এটা কিভাবে কাজ করে। বিজ্ঞানীদের মতে, বিগব্যাং হওয়ার পরে আমাদের এই মহাবিশ্বের মধ্যে ৪র্থ মাত্রার একটি চাদর বিস্তৃত হয়ে গিয়েছিলো। যার উপরেই মহাবিশ্বের সকল কিছু অবস্থান করছে। বলে রাখা ভালো এটি একটি ৪র্থ মাত্রার চাদর যা ঘর্ষণহীন এবং যার নাম দেওয়া হয়েছে স্পেস-টাইম। তো এই চাদরও ঠিক রাবারের ওই চাদরের মতনই ক্রিয়া করে। উদাহরণ স্বরূপ, আমাদের সৌরজগতের মধ্যে সবচেয়ে ভারী বস্তু হলো সূর্য। অর্থাৎ, সবচেয়ে বেশি স্পেস-টাইমকে বাঁকাবেও সেই সূর্য। আর যেহেতু পৃথিবীসহ সকল গ্রহই সূর্যের নিকট নগণ্য, তাই তারা সবাই সূর্যের দিকেই ধাবিত হতে চাইবে ঠিক যেভাবে মার্বেলটি হতে চাইতো।

কিন্তু অনেকে এখানে প্রশ্ন করবে,মার্বেলটি তো একসময় থেমে গিয়ে কেন্দ্রে পতিত হয়েছিলো। তাহলে পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহগুলো কেনো পতিত হচ্ছেনা?

উত্তর হলো, যেহেতু আগেই বলেছি স্পেস-টাইম একটি ৪র্থ মাত্রার ঘর্ষণহীন চাদর, তাই পৃথিবী বা অন্যান্য গ্রহগুলো ঘর্ষণহীন ভাবে ঘুরতে পারছে। যেহেতু ঘর্ষণহীনভাবে ঘুরছে, তাই তাদের শক্তিও হারাচ্ছে না। অর্থাৎ, মার্বেলের মতো গ্রহদের একদম কেন্দ্রে পতিত হবার কোনো রাস্তা নেই(এ নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে)। তাদের কোনো বিরাট বাহ্যিক শক্তি দ্বারা বিকৃত না করা হলে যতদিন সূর্য আছে, তারা ততোদিনই একই ভাবে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে থাকবে। এ কারণেই বলা হয় পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহগুলো নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরছে। কারণ,তারা এখনও বিকৃত হয়নি। সূর্য স্পেস-টাইমকে বেশি বাকিয়েছে, তাই সূর্যের চেয়ে কম ভরের যারা রয়েছে সকলেই সূর্যের দিকে ধাবিত হতে চেয়েছে এবং তাদের পূর্বের আদিবেগের কারনে গোলাকার বা পরাবৃত্তাকারে অববরত প্রদক্ষিণ করে যাচ্ছে।

ঠিক প্রাকৃতিক উপগ্রহগুলোও কিন্তু এভাবেই কাজ করে। যেমন পৃথিবীর ভর চাঁদের চেয়ে বেশি। তাই পৃথিবী স্পেস-টাইমকে চাঁদের থেকে বেশি বাকিয়েছে এবং ফলস্বরুপ, চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে আর পৃথিবী সূর্যকে। এই গ্রহের ঘুর্ণনের ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আমাদের কেন্দ্রমুখী এবং কেন্দ্রবিমুখী বলের সমান হওয়ার ব্যাখ্যাগুলো দেওয়া হয়। কিন্তু কেন্দ্রমুখী এবং কেন্দ্রবিমুখী বলগুলো কেনো সমান হলো? কিভাবে সমান হলো? এগুলোর ব্যাখ্যা কেউ চায় ও না,কেউ দেয় ও না। তাই, এটার মূল কারণ এবং থিওরি এটাই যা সবচেয়ে লেটেস্ট।

এবার আসা যাক বলের দিকে। আমরা সকলেই চারটি মৌলিক বলের নাম জানি। মহাকর্ষ বল তার মধ্যে একটি যা একটি দুর্বল বল। কেনো দুর্বল হয় এই মহাকর্ষ বল?

এটারও মূল থিওরি স্পেস-টাইমই।
যেমন আমাদের পৃথিবীর মধ্যেই যদি আমরা কিছু দূরে দূরে দুইটি কলম রাখি তারা কিন্তু মিলিত হচ্ছেনা। কারণ, তাদের অতো বেশি পরিমানের ভর নেই যার দ্বারা তারা স্পেস-টাইম বাকিয়ে অন্যদের আকর্ষণ করবে। তবে তারা যে আকর্ষণ করছে না এমনটি নয়।তারাও করছে, তবে তা এতোই কম যে তাদের অগ্রসর হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ নয়। অর্থাৎ, যেই বস্তু যতো বেশি স্পেস-টাইমকে বাকাতে পারবে, সে ততো বেশি অন্য বস্তুকে তার দিকে টেনে নেওয়ার প্রবণতা দেখাবে। এমনকি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণুসমূহের কাছাকাছি আসার মধ্যেও এই স্পেস-টাইম এর প্রভাব রয়েছে। খেয়াল করলে দেখা যায় আকর্ষন+বিকর্ষণ+ প্রায় সকল ধরনের বলই এই স্পেস-টাইমের গর্তের উপরই নির্ভর করছে। গর্তই তৈরি করছে বল। যার কারণে এই মহাবিশ্ব এতো সুশীলভাবে চলছে,রহস্যজনকভাবে,সুন্দরভাবে।
ব্ল্যাকহোলও স্পেস-টাইমকে কাজে লাগিয়েই সমস্ত কিছুকে গ্রাস করে।যেহেতু ব্ল্যাকহোলগুলো মহাবিশ্বের সবচেয়ে ভারী বস্তুগুলো হিসেবে কাজ করে তাই এরা স্পেস-টাইমকে এতোই বাকায় যে তা ছিদ্রের ন্যায় হয়ে যায়।যার দরুন, উহার ভিতরে কিছু চলে গেলে তার ফিরে আসার মতো শক্তি থাকেনা।আলো 3X10^8 মি/সে. গতি নিয়েও তা থেকে বের হতে পারেনা। কেনো পারেনা? যেহেতু আলো মূলত ফোটন কণার প্রবাহ। আর কণা অবশ্যই স্পেস-টাইমের ফাঁদে পা দিতেই পারে স্বাভাবিক।

Variations on The Word Love

  Variations on The Word Love    By Margaret Atwood           'This is a word we use to plug      holes with. It's the right size fo...