Saturday, January 20, 2018

ভারতে ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি - সচীন টেন্ডুলকারের সাথে তুল করা হয়|-----

বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার সাথে শ্বাসরুদ্ধকর জয় এর পর  বিরাট কোহলিকে একজন ‘প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান’ বলা হয়-

তার দুর্দান্ত ইনিংসেই ভারত অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠেছে।
একটা সময় ম্যাচ ভারতের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিলো কিন্তু বিরাট কোহলির ঝড়ো ইনিংসের মধ্য দিয়ে স্বাগতিক দল সেই চাপের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে এবং খেলা শেষ হতে পাঁচ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয়।
বিরাট কোহলি ৫১ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
তবে জয়সূচক রান নিয়েছেন অধিনায়ক এমএস ধোনি।
বিরাট কোহলির এই ইনিংসের পর তাকে সচীন টেন্ডুলকারের সাথে তুলনা করা শুরু হয়ে গেছে।
ভারতীয় কিংবদন্তী ক্রিকেটার কপিল দেব তার উচ্ছ্বাসিত প্রশংসা করে বলেছেন, “ব্যাট হাতে প্রতিভাবান এই ক্রিকেটারকে অভিনন্দন জানাই।

কপিল দেব ভারতের দ্রুততম বোলারদের একজন। তিনি বলেছেন, "আমি সবসময় বিশ্বাস করি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট শুধু বল পেটানো বা বেপরোয়া ব্যাট পেটানো নয়। আপনি আপনার স্বাভাবিক খেলাটাও খেলতে পারেন এবং বোলাদের সাথে লড়াইয়ে জিতে যেতে পারেন। বিরাট কোহলি তার খেলায় সেটাই করে দেখিয়েছেন।"
প্রতিপক্ষের রানা তাড়া করতে অত্যন্ত দক্ষ হয়ে উঠেছেন বিরাট কোহলি।
এই টুর্নামেন্টের চারটি ম্যাচে তিনি করেছেন ১৮৪ রান।
সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের মধ্যে তার অবস্থান তিন নম্বরে।
“তার আদর্শ সচীন টেন্ডুলকার থেকে তিনি শিখেছেন চাপের মধ্যে কিভাবে ব্যাট চালাতে হয়। শান্ত থেকে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলেই রান বের করে আনতে হয়। বিরাট কোহলিই হতে পারেন টেন্ডুলকারের যোগ্য উত্তরসূরি।


৪৪ বছরে টেন্ডুলকার, তার যে ৫ রেকর্ড

ভারতের ইতিহাস শচীন টেন্ডুলকার-

ক্রিকেট মাঠে যতোক্ষণ ব্যাট করতেন ততোক্ষণ ভারতের আশা-ভরসা হয়ে থাকতেন শচীন টেন্ডুলকার। ২০১৩ সালে প্রিয় এ খেলাটিকে চিরদিনের জন্য বিদায় জানান তিনি। তবে তার ঐতিহাসিক কীর্তিগুলো এখনো শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে দেশটি। সোমবার কিংবদন্তি এ ক্রিকেটারের ৪৪তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।
১৯৭৩ সালের ২৪ এপ্রিল মুম্বাইয়ে জন্ম নেন শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। এরপর ২৪ বছরের দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অসংখ্য রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এর মধ্যে পাঁচটি রেকর্ড রয়েছে যা কোনোদিনই ভাঙবে না বলে মত ক্রিকেটবোদ্ধাদের।

১. টেস্টে ১৫ হাজার ৯২১ রান :
টেস্ট ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের মোট সংগ্রহ ১৫ হাজার ৯২১ রান। এর ধারেকাছেও এখন পর্যন্ত কেউ যেতে পারেনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিংয়ের ১৩ হাজার ৩৭৮ রান। ধারণা করা হয়, লিটল মাস্টার খ্যাত ব্যাটসম্যানের এ রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারবে না।


২. ওয়ানডে ১৮ হাজার ৪২৬ রান :

ওয়ানডে ক্রিকেটে ব্যাটিং জিনিয়াসের মোট সংগ্রহ ১৮ হাজার ৪২৬ রান। আর কোনো ব্যাটসম্যানই এ ফরম্যাটে ১৫ হাজার রান অতিক্রম করতে পারেননি। ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকার ১৪ হাজার ২৩৪ রান। শচীনের এ রেকর্ডও কেউ ভাঙতে পারবে বলে মনে করেন না ক্রিকেটবোদ্ধারা।
৩. ২০০ টেস্ট :
সর্বোচ্চ টেস্ট খেলার রেকর্ডও শচীন টেন্ডুলকারের দখলে। একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন ২০০ টেস্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০তম টেস্ট খেলার সৌভাগ্য অর্জন করেন তিনি। তার পরে সর্বোচ্চ সংখ্যক টেস্ট খেলেছেন ১৬৮টি করে যথাক্রমে দু’অজি কিংবদন্তি রিকি পন্টিং ও স্টিভ ওয়াহ্।
৪. টেস্টে ৫১ সেঞ্চুরি :

টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক শচীন টেন্ডুলকার। দু’দশকের বেশি ক্যারিয়ারে ৫১টি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। এ মাস্টার ব্যাটসম্যানের পরে কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাকস ক্যালিসের এ ফরম্যাটে ৪৫টি সেঞ্চুরি রয়েছে।
৫. আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৩৪ হাজার ৫৭ রান :
টেস্ট ও ওয়ানডে মিলিয়ে এ রান করেছেন রানমেশিন। তার পরে কেবল কুমার সাঙ্গাকারা দু’ফরম্যাট মিলে করেছেন ২৮ হাজার রান। শচীনের এ রেকর্ডও অমর হয়ে থাকবে বলে মত ক্রিকেট বিশ্লেষকদের।

Friday, January 19, 2018

মেসি এর বার্সেলোনা ক্লাবে যাত্রা শুরু

বার্সেলোনা ক্লাবে  যাত্রা শুরু
মেসি ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনার

২০০৪ সালের ১৬ অক্টোবর, ইস্পানিওলের বিপক্ষে বার্সেলোনার তৃতীয় কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে মেসির লা লিগায় অভিষেক হয় (১৭ বছর এবং ১১৪ দিন বয়সে)। অবশ্য, ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে, বোয়ান কিরকিচ এই স্থান দখল করেন। ২০০৫ সালের ১ মে, আলবাকেতে বালোম্পাইয়ের বিপক্ষে বার্সেলোনার সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে লা লিগায় গোল করার রেকর্ড গড়েন মেসি (১৭ বছর ১০ মাস এবং ৭ দিন বয়সে)। অবশ্য তার এই রেকর্ড ২০০৭ সালে বোয়ান কিরকিচ ভেঙ্গে ফেলেন। বোয়ান ঐ গোলটি মেসির পাস থেকেই করেছিলেন। মেসি তার প্রাক্তন কোচ ফ্রাংক রাইকার্ড সম্পর্কে বলেন: ‘‘আমি কখনও ভুলবনা যে তিনি আমার ক্যারিয়ার শুরু করিয়েছিলেন, মাত্র ১৬ বা ১৭ বছর বয়সে আমার প্রতি তার আস্থা ছিল।’’ ঐ মৌসুমে মেসি বার্সেলোনা বি দলের হয়েও খেলেন এবং ১৭ খেলায় ৬ গোল করেন।
মেসিকে স্পেনের নাগরিকত্ব প্রদান এবং লা লিগা’য় খেলার সুযোগ-২০০৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বারের মত বার্সেলোনা মেসির সাথে তাদের চুক্তি নবায়ন করে। এসময় মূল দলের খেলোয়াড় হিসেবে মেসির পারিশ্রমিক বাড়ানো হয়  চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৪ সাল পর্যন্ত করা হয়। ২০০৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, মেসিকে স্পেনের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয় এবং তিনি লা লিগায় খেলার সুযোগ পেয়ে যান। ২৭ সেপ্টেম্বর মেসি ঘরের মাঠে ইতালিয়ান ক্লাব উদিনেসের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লীগে তার প্রথম খেলায় মাঠে নামেন। মেসি যখন মাঠে নামেন তখন ক্যাম্প ন্যু এর দর্শকগন তাকে দাড়িয়ে অভ্যর্থনা জানান। মেসি লা লিগায় ১৭ খেলায় ৬ গোল এবং চ্যাম্পিয়নস লীগে ৬ খেলায় ১ গোল করেন। ২০০৬ সালের ৭ মার্চ চেলসির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লীগের দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় লীগের খেলায় মেসির ডান উরুর পেশী ছিঁড়ে যায়। ফলে সেসমই তাকে মৌসুমের ইতি টানতে হয়। ঐ মৌসুমে রাইকার্ডের অধীনে বার্সেলোনা স্পেন এবং ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মৌসুম শেষ করে। স্পেনের জাতীয় অনুর্ধ্ব ২০ ফুটবল দলে খেলার আমন্ত্রন প্রত্যাখ্যান মেসির-

আর্জেন্টাইন-স্পেনীয় নাগরিক হিসেবে ২০০৪ সালে মেসিকে স্পেনের জাতীয় অনুর্ধ্ব ২০ ফুটবল দলে খেলার জন্য আমন্ত্রন জানানো হয়। কিন্তু মেসি তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি ২০০৪ সালের জুনে আর্জেন্টিনার অনুর্ধ্ব ২০ দলের হয়ে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি খেলায় মাঠে নামেন। তিনি ২০০৫ সালে দক্ষিন আমেরিকান যুব চ্যাম্পিয়নশীপে আর্জেন্টিনা দলের হয়ে খেলেন এবং যেখানে আর্জেন্টিনা তৃতীয় হয়। ২০০৫ ফিফা যুব চ্যাম্পিয়নশীপে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হয় এবং তিনি ৬টি গোল করে প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বল এবং গোল্ডেন বুটের পুরস্কার জিতেন।

যুব একাডেমীর ইনফান্তিল বি, কাদেতে বি এবং কাদেতে এ দলে খেলেছেন। কাদেতে এ দলে খেলার সময় তিনি ৩০ খেলায় ৩৭ গোল করেন। ২০০৩ সালে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে তাকে ক্লাব থেকে প্রায় ছেড়েই দেওয়া হয়েছিল কিন্তু যুব দলের প্রশিক্ষণ কর্মীদের জোড়াজুড়িতে ক্লাবের ব্যবস্থাপনা পরিষদ তাকে দলে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০০৩–০৪ মৌসুমে মেসি পাঁচটি আলাদা দলে খেলেন, যা একটি রেকর্ড। তিনি হুভেনিল বি দলে খেলে ১টি গোল করেন এবং হুভেনিল এ দলে খেলার সুযোগ লাভ করেন। সেখানে তিনি ১৪ খেলায় ২১টি গোল করেন। ২০০৩ সালের ২৯ নভেম্বর, বার্সেলোনা সি (তের্সেরা দিভিসিওন) দলে এবং ২০০৪ সালের ৬ মার্চ, বার্সেলোনা বি (সেহুন্দা দিভিসিওন) দলে তার অভিষেক হয়। ঐ মৌসুমে তিনি উভয় দলের হয়েই খেলেন এবং সি দলের হয়ে তার গোল সংখ্যা ছিল ১০ খেলায় ৫ এবং বি দলের হয়ে ৫ খেলায় শূন্য। এই দুই দলে অভিষেকের পূর্বে মেসির দাপ্তরিক অভিষেক হয়েছিল ২০০৩ সালের ১৬ নভেম্বর, পোর্তোর বিপক্ষে একটি প্রীতি খেলায় (১৬ বছর এবং ১৪৫ দিন বয়সে)।

Lionel Messi


মেসির ছটো থাকার সময়
বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনার রোজারিওতে স্টিল কারখানায় কর্মরত বাবা হোর্হে হোরাসিও মেসি এবং পার্ট-টাইম ক্লিনার মা সেলিয়া মারিয়া কুচ্চিত্তিনি এর ঘরে ১৯৮৭ সালের ২৪শে জুন জন্মগ্রহন করেন। তার পৈতৃক পরিবারের আদি বাসস্থান ছিল ইতালির আকোনা শহরে। তার পূর্বপুরুষদের একজন অ্যাঞ্জেলো মেসি ১৮৮৩ সালে সেখান থেকে আর্জেন্টিনায় চলে আসেন। মেসির বড় দুই ভাই এবং এক ছোট বোন রয়েছেন। বড় দুই ভাইয়ের নাম রদ্রিগো ও মাতিয়াস এবং ছোট বোনের নাম মারিয়া সল। পাঁচ বছর বয়সে মেসি স্থানীয় ক্লাব গ্রান্দোলির হয়ে ফুটবল খেলা শুরু করেন যার কোচ ছিলেন তার বাবা হোর্হে।

মেসির দ্য মেশিন অফ '৮৭
বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনার রোজারিওতে স্টিল কারখানায় কর্মরত বাবা হোর্হে হোরাসিও মেসি এবং পার্ট-টাইম ক্লিনার মা সেলিয়া মারিয়া কুচ্চিত্তিনি এর ঘরে ১৯৮৭ সালের ২৪শে জুন জন্মগ্রহন করেন। তার পৈতৃক পরিবারের আদি বাসস্থান ছিল ইতালির আকোনা শহরে। তার পূর্বপুরুষদের একজন অ্যাঞ্জেলো মেসি ১৮৮৩ সালে সেখান থেকে আর্জেন্টিনায় চলে আসেন। মেসির বড় দুই ভাই এবং এক ছোট বোন রয়েছেন। বড় দুই ভাইয়ের নাম রদ্রিগো ও মাতিয়াস এবং ছোট বোনের নাম মারিয়া সল। পাঁচ বছর বয়সে মেসি স্থানীয় ক্লাব গ্রান্দোলির হয়ে ফুটবল খেলা শুরু করেন যার কোচ ছিলেন তার বাবা হোর্হে।

Variations on The Word Love

  Variations on The Word Love    By Margaret Atwood           'This is a word we use to plug      holes with. It's the right size fo...